স্বদেশ ডেস্ক: জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজ ভ্যাকসিন ৬৬ শতাংশ কার্যকর বলে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে। একাধিক মহাদেশে ব্যাপক ট্রায়াল শেষে শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করোনার নতুন ধরন থেকে সুরক্ষা পেতে এটি কম কার্যকর হবে। তবে বিশ্বজুড়ে করোনা প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিন ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দেবে, যার প্রশংসা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনার মৃদু, মাঝারি ও মারাত্মক সব ধরণের বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রে ৭২ শতাংশ কার্যকর। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় এর কার্যকারিতা ৫৭ শতাংশ। তবে ল্যাটিন আমেরিকায় এটি ৬৬ শতাংশ কার্যকর।
কোম্পানির সিইও এলেক্স গ্রোস্কি বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ এই মাইলস্টোনে পৌঁছাতে পেরে আমরা গর্বিত। বিশ্বব্যাপী সবখানে সবার জন্য জরুরি ভিত্তিতে এই স্বাস্থ্য সঙ্কট অব্যাহতভাবে মোকাবিলাই আমাদের অঙ্গীকার।
হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জেন পাসাকি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই তথ্যে খুবই উৎসাহিত হয়েছেন। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন এ বিষয়ে তাদের মূল্যায়ন কাজ চালিয়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কোম্পানিটি বলছে, তারা ফ্রেুবুয়ারির প্রথমেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের আবেদন করবে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি পর্যুদস্ত যুক্তরাষ্ট্র এর আগে ফাইজার ও মর্ডানার ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে। এ দুটি ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ কার্যকর।
এদিকে জে অ্যান্ড জে’র ভ্যাকসিন এক ডোজই দিতে হবে এবং এটি তিন মাস পর্যন্ত ২ থেকে ৮ ডিগ্রী তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে।
জে অ্যান্ড জে বলছে, অনুমোদিত হলে তারা যুক্তরাষ্ট্রে জুনের শেষ নাগাদ ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করবে।
কোম্পানিটি তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আটটি দেশের ৪৩ হাজার ৭৮৩ জনের ওপর চালিয়েছে। এদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ ৬০ বছরের বেশি বয়সী।